মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি ঃ
গৃহবধুকে শারীরিক নির্যাতন শেষে মুখে বিষঢেলে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেলে পাসন্ড স্বামীর বিরুদ্ধে। লামা উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড বাতেন টিলা এলাকায় ১৯ আগষ্ট শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত রেহেনা বেগম(২৫) একই এলাকার নুর হোসেন ও সাজেদা বেগমের মেয়ে। এইদিকে ঘাতক স্বামী গিয়াস উদ্দিন লামা হাসপাতালে স্ত্রীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হলে পালিয়ে যায়। গিয়াস উদ্দিন এর বাড়ি পার্শ্ববর্তী বমু বিলছড়ি ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড বমুর কুল এলাকায়। পাসন্ড স্বামী ও তার বাবা আবুল কাসেমকে পালিয়ে যেতে ১০ হাজার টাকা ও গাড়ী দিয়ে লামা বাজারের টিন ব্যবসায়ী মো. মিজানুল হক পিতা- আব্দুল গনি মেম্বার সহায়তা করেছে বলে নিহতের বাবা জানিয়েছে।
নিহতের বাবা নুর হোসেন বলেন, রেহেনা বেগম ও গিয়াস উদ্দিনের মধ্যে দীর্ঘদিন প্রেম ছিল। প্রেমের সম্পর্ক থাকায় বিয়ের আগেই গর্ভে সন্তান আসে নিহত রেহেনার। গর্ভে সন্তান আসলে সামাজিকভাবে চাপ দিয়ে গিয়াসের অমতে জোর করে ১বছর আগে উভয়ের বিয়ে দেয়া হয়। বিয়ের পর থেকে স্বামীর সংসার কখনও শান্তির ছিলনা রেহেনার। বিয়ের ৬মাস পরেই তাদের সংসারে আসে একমাত্র সন্তানটি। তিনি আরো বলেন, আমার মেয়ের হত্যাকারী গিয়াস ও তার বাবা আবুল কাশেম কে পালিয়ে যেতে সহায়তা করেছে মো. মিজানুল হক পিতা- আব্দুল গনি মেম্বার, গ্রাম- বমুর কুল ৬নং ওয়ার্ড বমু বিলছড়ি ইউনিয়ন চকরিয়া কক্সবাজার। পার্শ্ববর্তী লোকজন জানায়, প্রতিনিয়ত স্বামী, শুশুর ও শাশুড়ির নির্যাতন সহ্য করতে হত রেহেনাকে।
লামা হাসপাতালের জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত ডাক্তার ফাতেমা বেগম জানান, ১৯ আগষ্ট শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে বিষপান অবস্থায় লামা হাসপাতালে আনার সাথে সাথে রেহেনার মৃত্যু হয়। এসময় নিহত রেহেনার ঠোঁটে নাকে কাটা দাগ ছিল। তাছাড়া রেহেনার গোপন অঙ্গ দিয়ে প্রচুর রক্ত খনন ও মাথায় একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে লামা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো. আজমগীর বলেন, নিহতের লাশ সকালে ময়নাতদন্তের জন্য বান্দরবান জেলা হাসপাতালে নেয়া হবে।
পাঠকের মতামত: